ক্রাইমস্টোরিঃ নেক্রোফিলিয়াক পর্ব-১
ঘাড়ের ওপর দিয়ে তাকায় রোজিনা ।
ও কি পিশাচটাকে ফাঁকি দিতে পেরেছে ?
কাঁধের ওপর থেকে রক্তের ধারা নেমে এসেছে বুকের ওপর – সেদিকে চোখ পড়তে ফুঁপিয়ে ওঠে মেয়েটা । রক্তক্ষরণে শরীর দুর্বল হয়ে এসেছে ।
শরীরে যতটুকু শক্তি অবশিষ্ট আছে – মনের ভেতরে ততটুকুও নেই । আড়ষ্ট হয়ে উঠেছে বাম কাঁধ – ওটা নড়াতে চেষ্টা করে অযথাই – একচুল নড়ানো যায় না ওটাকে । এভাবেই ছুটছে সেই কখন থেকে হাঁচড়ে পাঁচড়ে !
ছুটে আসছে পেছন থেকে মৃত্যুদূত । থামার উপায় নেই ।
বিশাল পার্কটা ওকে পার হতে হবে – ভাবতেই সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে ওর ।
ছেলেটাকে এতটা বিশ্বাস করা মোটেও ঠিক হয় নি – মোটেও না ! অন্ধকারে ভয়ার্ত মুখটাকে আরও সাদাটে লাগে এখন ।
ঝোপঝাড়ে খস খস শব্দ হচ্ছে কোথাও কাছেই – আৎকে ওঠে রোজিনা ।
চলে এসেছে ?
ভারী একটা শরীর যখন আড়াল থেকে একেবারেই হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে ওর কাঁধে – তারপর নিমেষে চেপে ধরে মুখ – কিছুই করার থাকে না রোজিনার ।
প্রচন্ড ধাক্কাতে ছিটকে মাটিতে পড়ে গেছে ও, শরীর কাঁপছে অতিরিক্ত পরিশ্রমে ।
ওর ওপর চেপে বসেছে পিশাচটা । মুখে চেপে ধরে রেখেছে এক হাত দিয়ে ।
অন্য হাতে খুলছে প্যান্টের বেল্ট ।
ছেলেটার উদ্দেশ্য একটু আগেই জেনে ফেলেছিল রোজিনা – দুই চোখ বন্ধ করে ও তীব্র আতংকে ।
নিঃশ্বাস নিতে পারছে না কেন কিছুতেই ?
ভারী একটা শরীর যখন আড়াল থেকে একেবারেই হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে ওর কাঁধে – তারপর নিমেষে চেপে ধরে মুখ – কিছুই করার থাকে না রোজিনার ।
প্রচন্ড ধাক্কাতে ছিটকে মাটিতে পড়ে গেছে ও, শরীর কাঁপছে অতিরিক্ত পরিশ্রমে ।
ওর ওপর চেপে বসেছে পিশাচটা । মুখে চেপে ধরে রেখেছে এক হাত দিয়ে ।
অন্য হাতে খুলছে প্যান্টের বেল্ট ।
ছেলেটার উদ্দেশ্য একটু আগেই জেনে ফেলেছিল রোজিনা – দুই চোখ বন্ধ করে ও তীব্র আতংকে ।
নিঃশ্বাস নিতে পারছে না কেন কিছুতেই ?
১.
টলতে টলতে বাথরুমের দিকে আগাচ্ছে সাকিব । কাল রাতে প্রথমবারের মত মদ্যপান করেছে ও – পেটে এত সয় নি ।
খাঁটি রাশিয়ান ভদকার বোতল এনেছিল ডাক্তার বন্ধু আরাফাত । সদ্য ছ্যাঁকা খাওয়া মানুষটাকে সঙ্গ দিতে – নাকি সিমপ্যাথি দেখাতে সে নিজেও কয়েক ঢোক খেয়ে ফেলেছিল, তা অবশ্য জানে না ।
এখন অবশ্য পস্তাচ্ছে ।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে একবার বমি করেছিল । কাজ হয় নি ।
এখন আবারও পেটের মাঝে পাক দিয়ে উঠছে । এতগুলো চিকেন ফ্রাই খাওয়াও উচিত হয় নি রাতে ।
কোনমতে হাই কমোডে গিয়ে সব উগরে দেয় সাকিব ।
দরজাতে কলিংবেল বাজছে । ঘন ঘন ।
ওদিকে তাকানোর সময় কোথায় ? আবারও মুখ নিয়ে যায় ও কমোডের মাঝে ।
গল গল করে সামান্য বমি হল । ভোরেই যা ভাসানোর ভাসিয়ে দিয়েছে । এখন নতুন কিছু বের হওয়ার কথাও না ।
বেসিনের সামনে এসে নিজের মুখে পানি ছিটাতে ছিটাতে একবার আয়নাতে প্রতিবিম্বটা দেখে ।
এলোমেলো চুলগুলো ভিজে গিয়ে কপালে অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে আছে । নিজেকে দেখে একটা মন্তব্যই লাগসই লাগে সাকিবের ।
‘গাঞ্জুট্টি !’ বিড় বিড় করে বলে এগোয় টাওয়েলের দিকে ।
কলিং বেল আবারও দুইবার পড়ল ।
পুরোনো আমলের ‘টিং টং’ শব্দটাকেই ভালো লাগে সাকিবের । ওটাই রেখেছে বেলের শব্দ হিসেবে ।
সেটা ঘন ঘন পড়লে মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা এমনিতেই । এখানে প্রথমবারের মত হ্যাংওভারে পড়া সাকিবের মেজাজোমিটারের কাঁটা দ্রুত চড়ে যায় ।
আরে ব্যাটা ফোন দিয়েছিস ? অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিস ?
অযথা মানুষের দরজাতে এসে বেলের ঝংকার, না ?
ধীরে ধীরে ব্রাশ করে সাকিব । বাইরে যেই শালার ব্যাটাই এসে থাকুক – দাঁড়িয়ে থাক ।
সবচেয়ে ভালো হয় চলে গেলে । হারামজাদা – ভোর দশটাতে এসে মানুষের দরজাতে টোকাটুকি ?
আরও কয়েকটা গালি মনে মনে দিতে দিতে ব্রাশ করে যায় সাকিব একমনে । এটাই সম্ভবতঃ ওর ধ্যান জ্ঞান এবং লক্ষ্য – এমনটা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক ।
কলিং বেল এবার বৃষ্টির মত পড়ছে । মাথা ধরিয়ে দেওয়া শব্দটা এমনিতেই মাথা ধরে থাকা সাকিবের খুলির ভেতর বাড়ি মারতে থাকে ।
মুখ ধুয়ে একটা ড্যাগার তুলে নিয়ে দরজার দিকে আগায় সাকিব ।
খাঁটি রাশিয়ান ভদকার বোতল এনেছিল ডাক্তার বন্ধু আরাফাত । সদ্য ছ্যাঁকা খাওয়া মানুষটাকে সঙ্গ দিতে – নাকি সিমপ্যাথি দেখাতে সে নিজেও কয়েক ঢোক খেয়ে ফেলেছিল, তা অবশ্য জানে না ।
এখন অবশ্য পস্তাচ্ছে ।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে একবার বমি করেছিল । কাজ হয় নি ।
এখন আবারও পেটের মাঝে পাক দিয়ে উঠছে । এতগুলো চিকেন ফ্রাই খাওয়াও উচিত হয় নি রাতে ।
কোনমতে হাই কমোডে গিয়ে সব উগরে দেয় সাকিব ।
দরজাতে কলিংবেল বাজছে । ঘন ঘন ।
ওদিকে তাকানোর সময় কোথায় ? আবারও মুখ নিয়ে যায় ও কমোডের মাঝে ।
গল গল করে সামান্য বমি হল । ভোরেই যা ভাসানোর ভাসিয়ে দিয়েছে । এখন নতুন কিছু বের হওয়ার কথাও না ।
বেসিনের সামনে এসে নিজের মুখে পানি ছিটাতে ছিটাতে একবার আয়নাতে প্রতিবিম্বটা দেখে ।
এলোমেলো চুলগুলো ভিজে গিয়ে কপালে অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে আছে । নিজেকে দেখে একটা মন্তব্যই লাগসই লাগে সাকিবের ।
‘গাঞ্জুট্টি !’ বিড় বিড় করে বলে এগোয় টাওয়েলের দিকে ।
কলিং বেল আবারও দুইবার পড়ল ।
পুরোনো আমলের ‘টিং টং’ শব্দটাকেই ভালো লাগে সাকিবের । ওটাই রেখেছে বেলের শব্দ হিসেবে ।
সেটা ঘন ঘন পড়লে মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা এমনিতেই । এখানে প্রথমবারের মত হ্যাংওভারে পড়া সাকিবের মেজাজোমিটারের কাঁটা দ্রুত চড়ে যায় ।
আরে ব্যাটা ফোন দিয়েছিস ? অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিস ?
অযথা মানুষের দরজাতে এসে বেলের ঝংকার, না ?
ধীরে ধীরে ব্রাশ করে সাকিব । বাইরে যেই শালার ব্যাটাই এসে থাকুক – দাঁড়িয়ে থাক ।
সবচেয়ে ভালো হয় চলে গেলে । হারামজাদা – ভোর দশটাতে এসে মানুষের দরজাতে টোকাটুকি ?
আরও কয়েকটা গালি মনে মনে দিতে দিতে ব্রাশ করে যায় সাকিব একমনে । এটাই সম্ভবতঃ ওর ধ্যান জ্ঞান এবং লক্ষ্য – এমনটা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক ।
কলিং বেল এবার বৃষ্টির মত পড়ছে । মাথা ধরিয়ে দেওয়া শব্দটা এমনিতেই মাথা ধরে থাকা সাকিবের খুলির ভেতর বাড়ি মারতে থাকে ।
মুখ ধুয়ে একটা ড্যাগার তুলে নিয়ে দরজার দিকে আগায় সাকিব ।
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হলেও শালাকে এখন খুন করে ফেলতে হবে । যাতে অন্য কারও বাসাতে সকাল-সকাল বিনা নোটিসে এসে এভাবে আর জ্বালাতে না পারে ।
মানবজাতির উপকার হবে একটা ।
দরজা খুলতে যাবে – তখনও চলছে নিয়মিত কলিং বেলের শব্দ । ওপাশের মানুষটা মনে হয় সুইচটাকে ভেঙ্গে ফেলবে !
গ্লাস দিয়ে তাকানোর প্রয়োজনও অনুভব করে না সাকিব । হুট করে খুলে ফেলে ওটা ।
পেছনে দ্রুত কোনমতে ড্যাগারটা লুকিয়ে ফেলতে পারে সাকিব সময়মত ।
‘এতক্ষণ কোথায় ছিলে ?’ রাগত চোখে প্রশ্নটা করে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটা ।
নিশার সুন্দর মুখটাতে এখন উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা, বেদনা, বিভ্রান্তি আর তীব্র ক্রোধ ।
নিশ্চয় কিছু হয়েছে ?
সিরিয়াস কিছু ?
মানবজাতির উপকার হবে একটা ।
দরজা খুলতে যাবে – তখনও চলছে নিয়মিত কলিং বেলের শব্দ । ওপাশের মানুষটা মনে হয় সুইচটাকে ভেঙ্গে ফেলবে !
গ্লাস দিয়ে তাকানোর প্রয়োজনও অনুভব করে না সাকিব । হুট করে খুলে ফেলে ওটা ।
পেছনে দ্রুত কোনমতে ড্যাগারটা লুকিয়ে ফেলতে পারে সাকিব সময়মত ।
‘এতক্ষণ কোথায় ছিলে ?’ রাগত চোখে প্রশ্নটা করে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটা ।
নিশার সুন্দর মুখটাতে এখন উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা, বেদনা, বিভ্রান্তি আর তীব্র ক্রোধ ।
নিশ্চয় কিছু হয়েছে ?
সিরিয়াস কিছু ?
২.
‘রোজিনা – মারা গেছে ?’ এখনও বিশ্বাস করতে পারে না সাকিব ।
চোখে পানি চলে আসছিল – কোনমতে ওটা আটকে ফেলে নিশা, ‘শী ওয়াজ কিলড অ্যান্ড রেপড ।’
রোজিনা – মেয়েটাকে অনেকবার দেখেছে সাকিব ।
চেহারা আর ফিগার ছিল আকর্ষণীয় । মডেলিংয়ে নামতে পারত অনায়াসে ।
এই বিশ্বাস শুধু সাকিবের না – অনেকেরই ছিল ।
দুইজন সুন্দরীর মাঝে বন্ধুত্ব হতে পারে না – এই প্রচলিত বিশ্বাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুল জীবন থেকে এই পর্যন্ত টিকে এসেছে নিশা-রোজিনার ফ্রেন্ডশীপ । ওরা বান্ধবী ছিল না শুধু – ছিল দুই বোনের মত ।
নিশার সাথে তখনও রিলেশনটা হয় নি সাকিবের – ভার্সিটির জনা পঞ্চাশেক ছেলে ঘুর ঘুর করত নিশা-রোজিনার আশে পাশে ।
বন্ধু রিয়াদকে একবার তখন প্রশ্ন করেছিল সাকিব, ‘এরা আসলে কে কার পেছনে ঘোরে ? নিশার ? না রোজিনার ?’
রিয়াদ উত্তর দিয়েছিল হেসে, ‘মনে হয় দুইজনেরই ।’
সাকিব নিশার পেছনে ঘোরে নি ।
আর সেজন্যই প্রকৃতির অমোঘ সমীকরণ মেনে নিশা ঘুরেছে সাকিবের পেছনে । ভালোবাসার মানুষটাকে বেশিদিন দ্বিধাতে না রেখে সাকিবও মনের কথা জানিয়ে দিয়েছিল ।
চোখে পানি চলে আসছিল – কোনমতে ওটা আটকে ফেলে নিশা, ‘শী ওয়াজ কিলড অ্যান্ড রেপড ।’
রোজিনা – মেয়েটাকে অনেকবার দেখেছে সাকিব ।
চেহারা আর ফিগার ছিল আকর্ষণীয় । মডেলিংয়ে নামতে পারত অনায়াসে ।
এই বিশ্বাস শুধু সাকিবের না – অনেকেরই ছিল ।
দুইজন সুন্দরীর মাঝে বন্ধুত্ব হতে পারে না – এই প্রচলিত বিশ্বাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুল জীবন থেকে এই পর্যন্ত টিকে এসেছে নিশা-রোজিনার ফ্রেন্ডশীপ । ওরা বান্ধবী ছিল না শুধু – ছিল দুই বোনের মত ।
নিশার সাথে তখনও রিলেশনটা হয় নি সাকিবের – ভার্সিটির জনা পঞ্চাশেক ছেলে ঘুর ঘুর করত নিশা-রোজিনার আশে পাশে ।
বন্ধু রিয়াদকে একবার তখন প্রশ্ন করেছিল সাকিব, ‘এরা আসলে কে কার পেছনে ঘোরে ? নিশার ? না রোজিনার ?’
রিয়াদ উত্তর দিয়েছিল হেসে, ‘মনে হয় দুইজনেরই ।’
সাকিব নিশার পেছনে ঘোরে নি ।
আর সেজন্যই প্রকৃতির অমোঘ সমীকরণ মেনে নিশা ঘুরেছে সাকিবের পেছনে । ভালোবাসার মানুষটাকে বেশিদিন দ্বিধাতে না রেখে সাকিবও মনের কথা জানিয়ে দিয়েছিল ।
ওদের রিলেশনে সবচেয়ে খুশি হয়েছিল রোজিনা ।
সেই রোজিনা মার্ডারড ?
এসব ভাবতে ভাবতেও কপাল কুঁচকে যায় সাকিবের ।
নিশার দিকে ঘুরে তাকায় ও, ‘রেপড অ্যান্ড কিলড ?’
এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না নিশা, দুই চোখ থেকেই টপাটপ পানি নেমে আসে ওর ।
‘কিলড অ্যান্ড রেপড, সাকিব ! কেউ খুন করে রেপ করেছে ওকে । কামড়ে খেয়েছে -’
আর বলতে পারে না – গলা ধরে এসেছে ।
সকাল বেলাতে পুলিশের জিম্মাতে বান্ধবীর লাশের কথা শুনে ছুটে গেছিল দেখতে । যা দেখে এসেছে – এক জীবনে যথেষ্ট !
নিশাকে আলতো করে বুকে চেপে রাখে সাকিব । মেয়েটাকে শান্ত করতে হবে । রোজিনার মৃত্যুই নিশার জীবনে কতটা শকিং – জানে সাকিব । সেখানে যদি কেউ খুন করে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে – কিভাবে সহ্য করতে পারে নিশা ? এখনও সাকিব বুঝতে পারছে না হ্যাংওভার কি কেটেছে ওর ? নাকি আরেক দফা ঘুমাচ্ছে ও ?
সেখানে দেখছে এই ভয়ংকর স্বপ্নটা ?
রোজিনার মত পুতুল-সুন্দরী মেয়েকে এই পৃথিবীর কোন মানুষ খুন করতে পারে ? কিভাবে পারে ?
খুন করে ফেলার পর কিভাবে আবার ধর্ষণ করা সম্ভব তার পক্ষে ?
‘তুমি -’ নিজেকে সাকিব থেকে একটু দূরে সরিয়ে এনে জ্বলন্ত চোখে তাকায় নিশা, ‘-খুঁজে বের করবে কে করেছে এই কাজটা ? তাকে নিজের হাতে খুন করব আমি ! বোঝা গেছে ?’
নিশার চোখ দুটো প্রতিহিংসাতে ধ্বক ধ্বক করে জ্বলছে ।
প্রাইভেট ডিটেক্টিভ বলে নিজের পরিচয় দেয় সাকিব । মাত্র দুটো কেসে কাজ করেছে । সাফল্য এসেছে দুটোতেই ।
নিশা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে – বুঝতে পারে ।
শক্ত মুখে তাকায় সাকিব, ‘সেব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারো, নিশা । রোজিনার খুনীকে আমি পার পেতে দেব না । তবে খুন তুমি বা আমি করতে পারি না । আইনের বিচারে শাস্তি আমি নিশ্চিত করবই ওর ।’
জোরে ধাক্কা দেয় নিশা সাকিবকে, চেঁচিয়ে ওঠে এবার, ‘আই উইল কিল দ্যাট বাস্টার্ড ! কোন পুলিশ-আদালত দেখবে না সে ! খুন করব ওকে আমি !’
কিছু বলে না সাকিব । মেয়েটা অনেক বেশি শক খেয়েছে । ওকে স্থির হতে সময় দেওয়া উচিত ।
স্থির করে নেয় ও, প্রথম কাজ - লাশটা দেখতে যেতে হবে ।
চোখের পানিতে ভিজে আছে গাল – তার মাঝেও কোথা থেকে জানি আগুন পাচ্ছে মেয়েটা ।
চোখ জ্বলছে এখনও ।
অক্ষম ক্রোধে ফুঁসতে থাকা মেয়েটার দিকে তাকায় সাকিব, কোমল গলাতে জানতে চায়, ‘কোথায় রেখেছে ওরা রোজিনাকে ?’
সেই রোজিনা মার্ডারড ?
এসব ভাবতে ভাবতেও কপাল কুঁচকে যায় সাকিবের ।
নিশার দিকে ঘুরে তাকায় ও, ‘রেপড অ্যান্ড কিলড ?’
এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না নিশা, দুই চোখ থেকেই টপাটপ পানি নেমে আসে ওর ।
‘কিলড অ্যান্ড রেপড, সাকিব ! কেউ খুন করে রেপ করেছে ওকে । কামড়ে খেয়েছে -’
আর বলতে পারে না – গলা ধরে এসেছে ।
সকাল বেলাতে পুলিশের জিম্মাতে বান্ধবীর লাশের কথা শুনে ছুটে গেছিল দেখতে । যা দেখে এসেছে – এক জীবনে যথেষ্ট !
নিশাকে আলতো করে বুকে চেপে রাখে সাকিব । মেয়েটাকে শান্ত করতে হবে । রোজিনার মৃত্যুই নিশার জীবনে কতটা শকিং – জানে সাকিব । সেখানে যদি কেউ খুন করে মেয়েটাকে ধর্ষণ করে – কিভাবে সহ্য করতে পারে নিশা ? এখনও সাকিব বুঝতে পারছে না হ্যাংওভার কি কেটেছে ওর ? নাকি আরেক দফা ঘুমাচ্ছে ও ?
সেখানে দেখছে এই ভয়ংকর স্বপ্নটা ?
রোজিনার মত পুতুল-সুন্দরী মেয়েকে এই পৃথিবীর কোন মানুষ খুন করতে পারে ? কিভাবে পারে ?
খুন করে ফেলার পর কিভাবে আবার ধর্ষণ করা সম্ভব তার পক্ষে ?
‘তুমি -’ নিজেকে সাকিব থেকে একটু দূরে সরিয়ে এনে জ্বলন্ত চোখে তাকায় নিশা, ‘-খুঁজে বের করবে কে করেছে এই কাজটা ? তাকে নিজের হাতে খুন করব আমি ! বোঝা গেছে ?’
নিশার চোখ দুটো প্রতিহিংসাতে ধ্বক ধ্বক করে জ্বলছে ।
প্রাইভেট ডিটেক্টিভ বলে নিজের পরিচয় দেয় সাকিব । মাত্র দুটো কেসে কাজ করেছে । সাফল্য এসেছে দুটোতেই ।
নিশা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে – বুঝতে পারে ।
শক্ত মুখে তাকায় সাকিব, ‘সেব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারো, নিশা । রোজিনার খুনীকে আমি পার পেতে দেব না । তবে খুন তুমি বা আমি করতে পারি না । আইনের বিচারে শাস্তি আমি নিশ্চিত করবই ওর ।’
জোরে ধাক্কা দেয় নিশা সাকিবকে, চেঁচিয়ে ওঠে এবার, ‘আই উইল কিল দ্যাট বাস্টার্ড ! কোন পুলিশ-আদালত দেখবে না সে ! খুন করব ওকে আমি !’
কিছু বলে না সাকিব । মেয়েটা অনেক বেশি শক খেয়েছে । ওকে স্থির হতে সময় দেওয়া উচিত ।
স্থির করে নেয় ও, প্রথম কাজ - লাশটা দেখতে যেতে হবে ।
চোখের পানিতে ভিজে আছে গাল – তার মাঝেও কোথা থেকে জানি আগুন পাচ্ছে মেয়েটা ।
চোখ জ্বলছে এখনও ।
অক্ষম ক্রোধে ফুঁসতে থাকা মেয়েটার দিকে তাকায় সাকিব, কোমল গলাতে জানতে চায়, ‘কোথায় রেখেছে ওরা রোজিনাকে ?’
৩.
ছেলেমানুষী হাসিতে ভরে থাকে ওসি শাহাবুদ্দীনের মুখটা সবসময় ।
এই মুহূর্তে তা মুছে গেছে ।
সাকিবের আপন মামা সম্পর্কে মানুষটা । অন্যতম প্রধান কারণ – এই অল্প বয়েসেও মার্ডার কেস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে পেরেছে ও আগের দুই কেসে ।
আর কেউ হলে পুলিশ ঘাড় ধরে বাসাতে বসিয়ে দিত । সিভিলিয়ান মানুষ । তার ওপর একটা ইউনিভার্সিটির থার্ড ইয়ার স্টুডেন্ট । পুলিশী কেসে নাক গলাতে দেওয়ার কথা না ।
শাহাবুদ্দীন ভাগনের মাঝে সম্ভাবনা দেখেই তাকে সুযোগ দিয়েছেন । বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে বটে সাকিব ।
চমক দেখিয়েছে আলোচিত ব্যবসায়ীর হত্যাকান্ডের কেসে ।
এবারের কেস অবশ্য আলোচিত কাওকে নিয়ে না । মারা গেছে সাকিবের গার্লফ্রেন্ডের বেস্ট ফ্রেন্ড ।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে সদাহাস্যময় শাহাবুদ্দীন চুপ মেরে গেছেন ।
এই মুহূর্তে তা মুছে গেছে ।
সাকিবের আপন মামা সম্পর্কে মানুষটা । অন্যতম প্রধান কারণ – এই অল্প বয়েসেও মার্ডার কেস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে পেরেছে ও আগের দুই কেসে ।
আর কেউ হলে পুলিশ ঘাড় ধরে বাসাতে বসিয়ে দিত । সিভিলিয়ান মানুষ । তার ওপর একটা ইউনিভার্সিটির থার্ড ইয়ার স্টুডেন্ট । পুলিশী কেসে নাক গলাতে দেওয়ার কথা না ।
শাহাবুদ্দীন ভাগনের মাঝে সম্ভাবনা দেখেই তাকে সুযোগ দিয়েছেন । বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে বটে সাকিব ।
চমক দেখিয়েছে আলোচিত ব্যবসায়ীর হত্যাকান্ডের কেসে ।
এবারের কেস অবশ্য আলোচিত কাওকে নিয়ে না । মারা গেছে সাকিবের গার্লফ্রেন্ডের বেস্ট ফ্রেন্ড ।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে সদাহাস্যময় শাহাবুদ্দীন চুপ মেরে গেছেন ।
তাছাড়া মারা গেছে ঠিকই একেবারেই গুরুত্বহীন কেউ – কিন্তু মৃত্যুর পদ্ধতিটা একেবারেই নতুন ।
গুরুত্ব দেওয়ার মত ।
গুরুত্ব দেওয়ার মত ।
‘তুমি কি হোমিসাইডকে আরেকবার কনভিনস করতে পার ?’ দ্বিতীয়বারের মত প্রশ্নটা করে সাকিব ।
রোজিনার ব্যাপারে সব বলে সাকিব প্রথমে যখন এই প্রশ্নটা করেছিল – তখনই চিন্তাতে ডুবে গেছিলেন শাহাবুদ্দীন ।
দ্বিতীয়বারে প্রশ্ন করাই লাগে ওকে ।
মাথা ঝাঁকান শাহাবুদ্দীন, ‘তা করে দেব । ডিরেক্টর আমার বন্ধু মানুষ । তবে সাকিব -’
সাকিব উৎসুক দৃষ্টিতে তাকায় শাহাবুদ্দীনের দিনে ।
‘-কাজটাতে নামার আগে ভেবে দেখ – তুমি প্রস্তুত কি না ? রোজিনার ডেডবডিটাই একটা বড় শক । তার ওপর মেথডটাও । বুঝতে পারছ তো ?’
শক্ত চোয়াল আরও শক্ত হয়ে যায় সাকিবের ।
রোজিনার ব্যাপারে সব বলে সাকিব প্রথমে যখন এই প্রশ্নটা করেছিল – তখনই চিন্তাতে ডুবে গেছিলেন শাহাবুদ্দীন ।
দ্বিতীয়বারে প্রশ্ন করাই লাগে ওকে ।
মাথা ঝাঁকান শাহাবুদ্দীন, ‘তা করে দেব । ডিরেক্টর আমার বন্ধু মানুষ । তবে সাকিব -’
সাকিব উৎসুক দৃষ্টিতে তাকায় শাহাবুদ্দীনের দিনে ।
‘-কাজটাতে নামার আগে ভেবে দেখ – তুমি প্রস্তুত কি না ? রোজিনার ডেডবডিটাই একটা বড় শক । তার ওপর মেথডটাও । বুঝতে পারছ তো ?’
শক্ত চোয়াল আরও শক্ত হয়ে যায় সাকিবের ।
‘আমি সব জেনেই নেমেছি । আমাকে জাস্ট পারমিশনটা ম্যানেজ করে দাও – বাকিটা দেখছি আমি । নিশ্চয় ভাবছ না – রোজিনার খুনীকে পার পেতে দেব আমি ?’
‘হোমিসাইডও কাজ করছে এ নিয়ে । ওদের টপ প্রায়োরিটি কেস এখন রোজিনার কেসটা । ওরা সলভ করবেই । তুমি বাসায় ফিরে যাও – আমি বলব । নিশাকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য পাশে কারও থাকা উচিত । মেয়েটা নিশ্চয় প্রচন্ড একটা ধাক্কা খেয়েছে ?’
‘হোমিসাইডও কাজ করছে এ নিয়ে । ওদের টপ প্রায়োরিটি কেস এখন রোজিনার কেসটা । ওরা সলভ করবেই । তুমি বাসায় ফিরে যাও – আমি বলব । নিশাকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য পাশে কারও থাকা উচিত । মেয়েটা নিশ্চয় প্রচন্ড একটা ধাক্কা খেয়েছে ?’
মাথা নাড়ে সাকিব, ‘নিশাকে স্বাভাবিক করার একটাই উপায় – খুনী কে – সেটা বের করা । আমাকে ফেরানোর চেষ্টা না করে হোমিসাইডের সাথে যোগাযোগ কর। জানাও আমি আসছি ।’
মাথা নাড়েন শাহাবুদ্দীন, উঠে দাঁড়িয়েছেন, ‘এই কেসে শুধু ফোন যথেষ্ট না । তোমাকে স্রেফ ভাগিয়ে দেবে ওরা । সাথে আমিও যাচ্ছি । চল ।’
মামার দিকে একটা কৃতজ্ঞ দৃষ্টি দেয় সাকিব । তারপর উঠে দাঁড়ায় ও নিজেও ।
*
হোমিসাইডের মর্গটা সাজানো গুছানো ।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মত বিশৃঙখল অবস্থা হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের কখনই ছিল না । অনেক চিন্তাভাবনা করে ডিপার্টমেন্টটা খোলা হয়েছে । প্রতিটি হেডকোয়ার্টার থেকে প্রতিটি ছোট কাজের পেছনেও কাজ করেছে সুনিপুণ পরিকল্পনা । সেজন্যই এখানে আসলে মনে হয় বাংলাদেশ না – পাশ্চাত্য উন্নত কোন দেশের কোন ডিপার্টমেন্টে চলে এসেছে ওরা ।
চারপাশে তাকিয়ে দেখে সাকিব । অনেকগুলো ড্রয়ার আছে দেওয়ালের দিকে ।
প্রতিটা একটি করে মরদেহ সংরক্ষণ করতে পারে ।
রুমের একমাত্র অপারেটিং টেবিলের ওপর শুয়ে আছে একটি মাত্র লাশ ।
বুক থেকে পা পর্যন্ত একটা সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা আছে সেটা ।
ঠান্ডা চোখে রোজিনার নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে সাকিব ।
একপাশ থেকে মেডিকেল এক্সামিনার তোফায়েলের দীর্ঘশ্বাস শোনা যায় । লোকটাকে নিশ্চয় প্রতিদিনই লাশ নিয়ে ঘাঁটতে হয় ?
হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট মানেই মার্ডার কেস । আর মার্ডার কেস মানেই মার্ডার ।
মার্ডার মানেই যে লাশের সমাহার – তা তো জানা কথা ।
তবুও তোফায়েলের মুখ থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসছে – সেটা বিস্ময়কর । লাশ কম দেখেনি সে – কিন্তু এতটা সৌন্দর্য্য নিয়ে এত অল্প বয়েসে এতটা নির্মম মৃত্যু সে আগে দেখেনি ।
এক পা এগিয়ে আসে সাকিব । টান দিয়ে কাপড়টা সরিয়ে নেয় রোজিনার শরীর থেকে ।
তারপর নিজের অজান্তেই পিছিয়ে আসে দুই পা ।
রোজিনার সারা শরীরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চোখ বোলায় সাকিব ।
বাম কাঁধের কাছে গভীর একটা ক্ষত । ক্ষতের আকৃতি দেখে মনে হচ্ছে না কোন ধরনের ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে ।
ভোঁতা একটা অস্ত্রের সাহায্যে কাঁটা হয়েছে কাঁধটা ।
সাকিবের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ ওটা না ।
রোজিনার উন্মুক্ত বুকের দিকে চোখ পড়তেই শিরশির করে উঠেছে ওর পিঠের ভেতর ।
কেউ একজন রোজিনার সুগঠিত বাম স্তনটিকে কামড়েছে – ভয়ানক কামড়ের দাগগুলো ফুটে আছে ক্ষতময় অংশে ।
ডান স্তনটি ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে ।
ওটুকু যে একজন মানুষের দাঁতের কাজ – সেটা বুঝতে ডান স্তনের ওপরে থাকা দাঁতের দাগগুলো দেখাটাই যথেষ্ট !
খুনটা যেই করে থাকুক – রোজিনাকে প্রথমে খুন করেই ক্ষান্ত দেয় নি – তারপর যৌন আক্রমণ চালিয়েছে লাশটার ওপর ।
একই সাথে কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে রোজিনার শরীরের মাংস ।
কপালের রগগুলো ফুলে ওঠে সাকিবের প্রচন্ড রাগে ।
যত্ন করে রোজিনার দেহটা যখন ঢেকে দিচ্ছিল ও – তখন মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা করে ফেলে ।
রোজিনার খুনীকে পুলিশ পাবে না ।
আদালতের মুখ দেখবে না ও ।
ওর বিচার হবে সাকিবের আদালতে ।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মত বিশৃঙখল অবস্থা হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের কখনই ছিল না । অনেক চিন্তাভাবনা করে ডিপার্টমেন্টটা খোলা হয়েছে । প্রতিটি হেডকোয়ার্টার থেকে প্রতিটি ছোট কাজের পেছনেও কাজ করেছে সুনিপুণ পরিকল্পনা । সেজন্যই এখানে আসলে মনে হয় বাংলাদেশ না – পাশ্চাত্য উন্নত কোন দেশের কোন ডিপার্টমেন্টে চলে এসেছে ওরা ।
চারপাশে তাকিয়ে দেখে সাকিব । অনেকগুলো ড্রয়ার আছে দেওয়ালের দিকে ।
প্রতিটা একটি করে মরদেহ সংরক্ষণ করতে পারে ।
রুমের একমাত্র অপারেটিং টেবিলের ওপর শুয়ে আছে একটি মাত্র লাশ ।
বুক থেকে পা পর্যন্ত একটা সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা আছে সেটা ।
ঠান্ডা চোখে রোজিনার নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকে সাকিব ।
একপাশ থেকে মেডিকেল এক্সামিনার তোফায়েলের দীর্ঘশ্বাস শোনা যায় । লোকটাকে নিশ্চয় প্রতিদিনই লাশ নিয়ে ঘাঁটতে হয় ?
হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট মানেই মার্ডার কেস । আর মার্ডার কেস মানেই মার্ডার ।
মার্ডার মানেই যে লাশের সমাহার – তা তো জানা কথা ।
তবুও তোফায়েলের মুখ থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসছে – সেটা বিস্ময়কর । লাশ কম দেখেনি সে – কিন্তু এতটা সৌন্দর্য্য নিয়ে এত অল্প বয়েসে এতটা নির্মম মৃত্যু সে আগে দেখেনি ।
এক পা এগিয়ে আসে সাকিব । টান দিয়ে কাপড়টা সরিয়ে নেয় রোজিনার শরীর থেকে ।
তারপর নিজের অজান্তেই পিছিয়ে আসে দুই পা ।
রোজিনার সারা শরীরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চোখ বোলায় সাকিব ।
বাম কাঁধের কাছে গভীর একটা ক্ষত । ক্ষতের আকৃতি দেখে মনে হচ্ছে না কোন ধরনের ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে ।
ভোঁতা একটা অস্ত্রের সাহায্যে কাঁটা হয়েছে কাঁধটা ।
সাকিবের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ ওটা না ।
রোজিনার উন্মুক্ত বুকের দিকে চোখ পড়তেই শিরশির করে উঠেছে ওর পিঠের ভেতর ।
কেউ একজন রোজিনার সুগঠিত বাম স্তনটিকে কামড়েছে – ভয়ানক কামড়ের দাগগুলো ফুটে আছে ক্ষতময় অংশে ।
ডান স্তনটি ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে ।
ওটুকু যে একজন মানুষের দাঁতের কাজ – সেটা বুঝতে ডান স্তনের ওপরে থাকা দাঁতের দাগগুলো দেখাটাই যথেষ্ট !
খুনটা যেই করে থাকুক – রোজিনাকে প্রথমে খুন করেই ক্ষান্ত দেয় নি – তারপর যৌন আক্রমণ চালিয়েছে লাশটার ওপর ।
একই সাথে কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে রোজিনার শরীরের মাংস ।
কপালের রগগুলো ফুলে ওঠে সাকিবের প্রচন্ড রাগে ।
যত্ন করে রোজিনার দেহটা যখন ঢেকে দিচ্ছিল ও – তখন মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা করে ফেলে ।
রোজিনার খুনীকে পুলিশ পাবে না ।
আদালতের মুখ দেখবে না ও ।
ওর বিচার হবে সাকিবের আদালতে ।
Comments
Post a Comment